গত ফেব্রুয়ারি থেকেই চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানরা। তবে এবার নিজে থেকেই ইউক্রেনের সাথে শান্তি আলোচনায় বসতে চায় রাশিয়া। সেক্ষেত্রে বেশ কিছু কঠিন শর্ত জুরে দিয়েছে রাশিয়া।
যার মধ্যে অন্যতম, দেশটির সেনাবাহিনী থেকে ন্যাটোর সব যুদ্ধপ্রশিক্ষক ও বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে যোগ দেওয়া সব স্বেচ্ছাসেবী সৈন্যকে বিদায় নিতে হবে ইউক্রেন থেকে।
সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ নিয়মিত ইউক্রেনকে যে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে—তা স্থগিতের পাশাপাশি ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের যে চার প্রদেশ সম্প্রতি রাশিয়ার অন্তর্ভূক্ত হয়েছে, সেসবের ওপর দাবিও ছেড়ে দিতে হবে ইউক্রেনকে।
শুক্রবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা বিভাগের প্রধান আলেক্সান্দার দারশিয়েভ দেশটির বৃহত্তম সংবাদসংস্থা তাস নিউজ এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাক্ষাৎকারে দারশিয়েভ বলেন, ‘(ইউক্রেনের সঙ্গে) আমরা ফের শান্তি সংলাপ শুরু করতে চাই। কিন্তু ভলোদিমির জেলনস্কির সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পশ্চিমা দেশগুলো যেভাবে বন্যার মত অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে; এসব যদি বন্ধ না হয় এবং ইউক্রেনের সেনাবাহিনী থেকে ন্যাটোর যুদ্ধপ্রশিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবী সৈনিকরা যদি বিদায় না নেয়, তাহলে তা সম্ভব নয়। ’
‘পাশাপাশি আমরা আরও বলতে চাই— আমাদের সবাইকেই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। যেসব অঞ্চল রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে, সেসবের ওপর আর দাবি রাখা যাবে না। ’
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দীর্ঘ চার বছর টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন পুতিন। গত ১০ মাসের এই যুদ্ধে উভয়পক্ষে মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের।